Skip to main content

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ০২




জীবনে বহুবার সফলতা এলেও সামান্য আঘাতে আমরা ভেঙে পড়ি। যারা H.S এ পাশ করতে পারোনি এই গল্প শুধুমাত্র তাদের জন্য। এই পোস্টটা পড়ার পর তুমি বুঝবে ব্যর্থতা শুধুমাত্র তোমার মনে পুষে রাখা চিন্তাভাবনা।

এই গল্পের নায়ক, Hungary তথা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পিস্তল শুটার, Karoly এর।১৯১০ সালে বুদাপেস্টে জন্ম হয়েছিল তার।১৯৩৮ সালে National Games জয়ের পর Karoly হয়ে উঠেছিল Hungary এর সেরা পিস্তলবাজ। সবার মনে একটাই বিশ্বাস ছিল Karoly ১৯৪০ এর অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক পাবেই, Karolyর কাছেও সময় ছিল, কিন্তু বিধাতার মনে তখন অন্য খেলা চলছিল।১৯৩৮ এ Army Camp চলাকালীন হাতে Hand grenade ফাটার ফলে Karolyর ডান হাত নষ্ট হয়ে যায়।

যে মানুষ এত বছর পরিশ্রম করে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছায় যেখানে তার success শুধু  সময়ের অপেক্ষা,সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তার স্বপ্নভঙ্গ হলে কতটা কষ্ট হয় তা তোমরা কল্পনাও করতে পারবেনা।

Karolyর হাতে তখন ছিল দুটি রাস্তা-
১) চুপচাপ নিজের জীবনের সাথে সমঝোতা করে নেওয়া|
২) যা বেঁচে আছে তাকে আকঁড়ে ধরে বেঁচে উঠা।

Karoly উঠে দাঁড়ালো,সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ১৯৩৯ সালে Karoly নিজের বাঁ হাত দিয়েই National Championship জিতল।

১৯৪০ সাল অলিম্পিকের অপেক্ষা Karolyসহ গোটা পৃথিবী অপেক্ষা করছিল, কিন্তু বাধ সাধলো দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ।
Karoly আবার ভেঙে পড়ল কিন্তু থেমে থাকলো না,১৯৪৪ সালের জন্য তৈরি হতে থাকলো।কিন্তু আবার cancel হলো অলিম্পিক।সাধারন মানুষ হলে হয়তো এখানেই ভেঙে পরতো কিন্তু Karoly আবার ফিরে এল ১৯৪৮ সালে, তখন তার বয়স ৩৮ | বয়সের ভারে ভেঙে পরলো না Karoly, লড়াই করলো পৃথিবীর সর্বসেরা শুটারদের সাথে। এবার আর নিরাশ হতে হলো না Karolyকে, জিতল স্বর্ণপদক আর জিতল কোটি কোটি মানুষের হৃদয়।১৯৫২ সালে পুনরায় অলিম্পিকে সোনা জিতলেন Karoly, পুর্ন করলেন তার জীবনের স্বপ্ন।

জেতার জন্য দরকার মনের আগুন আর দৃঢ় আত্মবিশ্বাসের, এই দুটো ছাড়া সফল হওয়া যায় না।

(গল্পটা প্রথম শুনেছিলাম সন্দীপ মাহেশ্বরীর videoতে ভালো লাগলো বলে লিখে ফেললাম)

ভালো লাগলে লাইক দিও আর শেয়ার করে দিও। কমেন্টে জানিও তোমাদের মুল্যবান বক্তব্য।

কলমে - Abhijit Seth

Comments

Popular posts from this blog

আধুনিক জামাইষষ্ঠী

(১) আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা - হ্যাঁ মা শোন কাল প্রবীর কে নিয়ে সকাল সকাল চলে আসিস। - কেনো,কাল আবার কি আছে? - আরে কাল জামাইষষ্ঠী - তো? আমাদের কোনো কাজ নেই নাকি? এসব বস্তা পচা rituals তোমাদের কাছেই রাখতো। পাশ থেকে আমাদের আধুনিক জামাই বলল- "আহ্ মা এতো করে ডাকছে, চল না ঘুরে আসি" - শুনলে তো ও কি বলল, তবে সকালে যেতে পারব না ডিউটি  আছে রাতে যাব। - হ্যাঁ রে টিভিতে দেখাচ্ছে যে কাল হাফবেলা আফিস - ওটা সরকারি মা,আমরা কিসে কাজ করি তুমি জানোনা নাকি? - আচ্ছা ঠিক আছে, তোরা সকাল সকাল চলে আসিস - ঠিক আছে। ছোটোবেলা থেকে বর্ণালীর স্বভাবটা এরমই। আদুরে মানুষ তো। (২) সকাল ৭:০০টা  - ওগো শুনছো,বাজার করে আনো আর শোনো দাঁড়িয়ে থেকে খাসিটা কাটিয়ো কিন্তু যা সব চলছে। -কখন আসবে ওরা? -রাতে -সকালে বলনি কেন? - আফিস আছে বলল। -তুমি কিন্ত না খেয়ে থেকো না, সুগারটা বেড়ে যাবে নাহলে। -একটা দিন সমস্যা হবে না গো। বলছি,টাকা আছে তোমার কাছে? এতো জিনিস আনবে কি করে। - ও তুমি চিন্তা করো না, কিছু একটা ম্যানেজ করে নেব। - ধুর্, তোমার ম্যানেজ আমার জানা আছে। এই নাও এই দুলটা ১০০০ টাকা পেয়ে যাবে। যাও, আর ...

লক আউট ৩

"এখন থাক না, সামনে উচ্চমাধ্যমিক তারপর কলেজ,পড়ুক না এখন।" লতা রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো। রমা বহু চেষ্টা করেও টিউশন জোগাড় করতে পারলনা।সবার পায়ে ধরল,কিন্তু সবাই হেসে উড়িয়ে দিল।এতটুকু মেয়ে আবার কি পড়াবে? সামনে উচ্চমাধ্যমিক এর ফর্ম ফিলআপ,টাকা পাবে কোথায়?কিভাবেই বা খাবার জোটাবে?  ভাবতে ভাবতে কেমন জানি মাথাটা ঘুরে গেলো।রমার চোখের সামনে অন্ধকার। রাত ১:০০টা "ডাক্তারবাবু রমা এখন কেমন আছে?" রমেশ কি করবে বুঝতে পারছেনা। "Operation করতেই হবে,Brain Tumor" রমেশের পা এর তলা থেকে যেন মাটি সরে গেলো।হে ভগবান, আর কত পরীক্ষা নেবে। "কত লাগবে?" "২ লাখ,যত তাড়াতাড়ি পারবেন জমা করে দিন।" রমেশ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ল।লতা মাসি এগিয়ে এসে বলল "চিন্তা করিস না আমার কাছে হাজার ২০এর মত হবে।" কি করে বাকি টাকা জোগাড় করবে রমেশ,জানতে হলে চোখ রাখুন লক আউট এর  ৪নং পর্বে। কলমে : Abhijit Seth