Skip to main content

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ০১



বন্ধুরা যারা H.S পাশ করেছো তাদের অভিনন্দন।কিন্তু যারা পাশ করো নি, তাদের জন্য আজকের এই পোস্ট।

সকাল থেকেই ফোনে পাচ্ছিলাম না সুব্রতকে।দুপুরে ফোন ধরতেই কাদঁতে শুরু করে দিলো।
আজ ছিল তার জীবনের সবচেয়ে বড়ো দিন-
উচ্চমাধ্যমিকের রেজাল্ট

- কি রে কি হলো কাঁদছিস কেনো?
- ভাই আমি ফেল করে গেছি, বাবা মা খুব মেরেছে। আত্মীয় স্বজনদের মুখ দেখাতে পারছি না,আমি আর বাঁচতে চাই না।
- হলো তোর? আর কিছু বলবি? শোন মন দিয়ে। তুই কি ভাবছিস একটা রেজাল্ট জীবনের সবকিছু? একটা সরকারি চাকরি পেলেই কি সব হয়ে গেলো?
আসলে দোষটা তোর না, আমাদের সিস্টেমের। মুকেশের চেয়ে  ছেলে কম নাম্বার পেলে বাবার প্রেস্টিজ ডাউন। যারা কোনোদিন ফোন করে না, রেজাল্ট বেরোলে সবার আগে ফোন তাদেরই আসে।সবাই জিজ্ঞেস করবে কত percentage এলো? নানারকম Advice দেবে, যারা জীবনে কলেজ দেখেনি তারাই  হয়ে উঠবে Career Guru. তোর Passion হয়তো Singing, তো তুই কেনো biology  আর chemistry এর   lesson পড়বি? কোন ব্যবসায়ী যদি পলাশির যুদ্ধের দিন মনে না রাখে, তো তাতে কিচ্ছু যায় আসেনা Boss. একজন Sportsman এর কাছে Physicsএর থেকেও বেশি important Physical Education. Examএর রেজাল্টের থেকেও বড় এই জীবন। মহাভারতে অর্জুনকে কেবল তীর চালানো শেখানো হয়েছিল কারণ  দ্রোনাচার্য জানতেন অর্জুনের একাগ্রতা অনেক বেশি। ভীমকে তার শক্তির জন্য কুস্তি আর মল্লযুদ্ধই শেখানো হয়েছিল।যদি 5000 বছর আগে লোকে জানত যে, যে কাজে যে expert তাকে সেই কাজই করা উচিত,তো আজ কেনো নয়? নিজের passionকে ফলো করতে শেখ। একজন চা'ওয়ালা  যদি দেশের প্রধানমন্ত্রী হতে পারে, একজন জমাদার যদি IPLএর সর্বোৎকৃষ্ট খেলোয়ার হতে পারে, কোন শিক্ষা ছাড়াই যদি কেউ দেশের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়ী হতে পারে, তো তুই কেনো পারবি না? ৯৯৯ বার ফেল হবার পর যদি Thomas Edison Alva ইলেক্ট্রিক bulb বানাতে পারে তো তুই পারবিনা কেনো? ৮বার election হেরেও যদি Abraham Lincon দেশের President হতে পারে তো তুই পারবি না কেনো? Paralysis হবার পরেও যদি কেউ বিশ্বের সেরা বিজ্ঞানী হতে পারে তো তুই পারবিনা কেনো? তুই সব Achieve করতে পারবি, তুই শুধু স্বপ্ন দেখতে শেখ। তুই নিজে দায়ী নিজের বর্তমানের জন্য, তবে কেবলমাত্র তোর বর্তমানই পারে ভবিষ্যৎ বদলাতে।

- আমি পারবো,আমাকে পারতেই হবে।

সব্বাইকে All The Best বলবো। ভালো লাগলে লাইক দিও, আর শেয়ার করো।

কলমে - Abhijit Seth


Comments

Popular posts from this blog

ঘুরে দাঁড়ানোর গল্প ০২

জীবনে বহুবার সফলতা এলেও সামান্য আঘাতে আমরা ভেঙে পড়ি। যারা H.S এ পাশ করতে পারোনি এই গল্প শুধুমাত্র তাদের জন্য। এই পোস্টটা পড়ার পর তুমি বুঝবে ব্যর্থতা শুধুমাত্র তোমার মনে পুষে রাখা চিন্তাভাবনা। এই গল্পের নায়ক, Hungary তথা পৃথিবীর অন্যতম সেরা পিস্তল শুটার, Karoly এর।১৯১০ সালে বুদাপেস্টে জন্ম হয়েছিল তার।১৯৩৮ সালে National Games জয়ের পর Karoly হয়ে উঠেছিল Hungary এর সেরা পিস্তলবাজ। সবার মনে একটাই বিশ্বাস ছিল Karoly ১৯৪০ এর অলিম্পিকে স্বর্ণ পদক পাবেই, Karolyর কাছেও সময় ছিল, কিন্তু বিধাতার মনে তখন অন্য খেলা চলছিল।১৯৩৮ এ Army Camp চলাকালীন হাতে Hand grenade ফাটার ফলে Karolyর ডান হাত নষ্ট হয়ে যায়। যে মানুষ এত বছর পরিশ্রম করে এমন একটা জায়গায় এসে পৌঁছায় যেখানে তার success শুধু  সময়ের অপেক্ষা,সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তার স্বপ্নভঙ্গ হলে কতটা কষ্ট হয় তা তোমরা কল্পনাও করতে পারবেনা। Karolyর হাতে তখন ছিল দুটি রাস্তা- ১) চুপচাপ নিজের জীবনের সাথে সমঝোতা করে নেওয়া| ২) যা বেঁচে আছে তাকে আকঁড়ে ধরে বেঁচে উঠা। Karoly উঠে দাঁড়ালো,সমস্ত প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে ১৯৩৯ সালে Karoly নিজের বাঁ হাত দিয়েই Nation...

আধুনিক জামাইষষ্ঠী

(১) আগের দিন সন্ধ্যা ৭টা - হ্যাঁ মা শোন কাল প্রবীর কে নিয়ে সকাল সকাল চলে আসিস। - কেনো,কাল আবার কি আছে? - আরে কাল জামাইষষ্ঠী - তো? আমাদের কোনো কাজ নেই নাকি? এসব বস্তা পচা rituals তোমাদের কাছেই রাখতো। পাশ থেকে আমাদের আধুনিক জামাই বলল- "আহ্ মা এতো করে ডাকছে, চল না ঘুরে আসি" - শুনলে তো ও কি বলল, তবে সকালে যেতে পারব না ডিউটি  আছে রাতে যাব। - হ্যাঁ রে টিভিতে দেখাচ্ছে যে কাল হাফবেলা আফিস - ওটা সরকারি মা,আমরা কিসে কাজ করি তুমি জানোনা নাকি? - আচ্ছা ঠিক আছে, তোরা সকাল সকাল চলে আসিস - ঠিক আছে। ছোটোবেলা থেকে বর্ণালীর স্বভাবটা এরমই। আদুরে মানুষ তো। (২) সকাল ৭:০০টা  - ওগো শুনছো,বাজার করে আনো আর শোনো দাঁড়িয়ে থেকে খাসিটা কাটিয়ো কিন্তু যা সব চলছে। -কখন আসবে ওরা? -রাতে -সকালে বলনি কেন? - আফিস আছে বলল। -তুমি কিন্ত না খেয়ে থেকো না, সুগারটা বেড়ে যাবে নাহলে। -একটা দিন সমস্যা হবে না গো। বলছি,টাকা আছে তোমার কাছে? এতো জিনিস আনবে কি করে। - ও তুমি চিন্তা করো না, কিছু একটা ম্যানেজ করে নেব। - ধুর্, তোমার ম্যানেজ আমার জানা আছে। এই নাও এই দুলটা ১০০০ টাকা পেয়ে যাবে। যাও, আর ...

লক আউট ৩

"এখন থাক না, সামনে উচ্চমাধ্যমিক তারপর কলেজ,পড়ুক না এখন।" লতা রাগে গজগজ করতে করতে বেরিয়ে গেলো। রমা বহু চেষ্টা করেও টিউশন জোগাড় করতে পারলনা।সবার পায়ে ধরল,কিন্তু সবাই হেসে উড়িয়ে দিল।এতটুকু মেয়ে আবার কি পড়াবে? সামনে উচ্চমাধ্যমিক এর ফর্ম ফিলআপ,টাকা পাবে কোথায়?কিভাবেই বা খাবার জোটাবে?  ভাবতে ভাবতে কেমন জানি মাথাটা ঘুরে গেলো।রমার চোখের সামনে অন্ধকার। রাত ১:০০টা "ডাক্তারবাবু রমা এখন কেমন আছে?" রমেশ কি করবে বুঝতে পারছেনা। "Operation করতেই হবে,Brain Tumor" রমেশের পা এর তলা থেকে যেন মাটি সরে গেলো।হে ভগবান, আর কত পরীক্ষা নেবে। "কত লাগবে?" "২ লাখ,যত তাড়াতাড়ি পারবেন জমা করে দিন।" রমেশ বাকরুদ্ধ হয়ে পড়ল।লতা মাসি এগিয়ে এসে বলল "চিন্তা করিস না আমার কাছে হাজার ২০এর মত হবে।" কি করে বাকি টাকা জোগাড় করবে রমেশ,জানতে হলে চোখ রাখুন লক আউট এর  ৪নং পর্বে। কলমে : Abhijit Seth